সুষম খাদ্য (Balance diet)
যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান
থাকে, তাকেই এক কথায় সুষম খাদ্য বলা হয়। অর্থাৎ মানবদেহের প্রয়োজণীয়
ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। সুষম খাদ্য দেহের চাহিদা
অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে
নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ
করতে হয়। সুষম খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ছয়টি খাদ্য উপাদান যেমনঃ আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি বিদ্যমান
থাকে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে
দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে।
সুষম খাদ্যের তালিকা প্রণয়নের নীতিমালা
ব্যক্তির বয়স, যোগ্যতা, প্রয়োজন ও পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করে সুষম খাদ্যের তালিকা প্রস্তুত
করা হয় বলে তাকে সুষম খাদ্যের মেনু বলা হয়। সুষম খাদ্যের তালিকা মেনু তৈরির সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি
বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়, যাকে সুষম খাদ্য তৈরির
নীতিমালা বলা যায়। যেমনঃ
১। সুষম খাদ্যে শরীরের
চাহিদা অনুযায়ী সকল পুষ্টি উপাদান দেহের চাহিদা মতো থাকতে হবে।
২। পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ
নিধারণের সময় ব্যক্তির পেশার মূল্যায়ন করতে হবে। অধিক পরিশ্রমী ব্যক্তির জন্য অধিক পরিমাণ
খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয়।
৩। সুষম খাদ্যের মেনু
তৈরির সময় ব্যক্তির দৈহিক চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
৪। সুষম খাদ্য খুব দামি
উপাদানসমৃদ্ধ হতে হবে, এমনটি ভাবা যাবে না।
৫। সুষম খাদ্য নির্বাচনের
সময় সহজলভ্য এবং সস্তার দিক বিবেচনা করতে হবে।
৬। প্রসূতি এবং গর্ভবতী
মায়েদের বেলায় সুষম খাদ্যে ভিন্নতার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
৭। সুষম খাদ্যের রন্ধননীতি
অবশ্যই গার্হস্থ্য অর্থনীতির বিধি মোতাবেক হতে হবে।
৮। সুষম খাদ্যের রন্ধননীতি
সব সময় পরিবারের সকল সদস্যের গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিত্তিতে হতে হবে।
৯। দৈনিক মোট ক্যালরির
৬০%-৭০% শর্করা জাতীয় খাদ্য, ৩০%-৪০% স্নেহ জাতীয়
খাদ্য এবং ১০% প্রোটিন জাতীয় খাদ্য থেকে গ্রহণের পরিকল্পনা করতে হবে।
১০। খাদ্য প্রস্তুত এবং পরিবেশনে যথার্থভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে
হবে।
0 comments:
Post a Comment