ভূমিকা
বাংলাদেশে ড্রামসিডার দিয়ে সরাসরি ধান বপন পদ্ধতি দ্রূত জনপ্রিয় হচ্ছে। আমদানির পাশাপাশি দেশের অভ্যন-রে ড্রামসিডার তৈরিও হচ্ছে। আগাছা দমনই ড্রামসিডার পদ্ধতির অন্যতম প্রধান সমস্যা। বোনা ধানের আগাছা সমস্যা সাধারণত এলাকাকেন্দ্রিক একটি সমস্যা। সব অঞ্চলে এবং সব জমিতে আগাছার উপদ্রব একই মাত্রার নয়। ধানের ফলন বাড়াতে এবং ভবিষ্যৎ আগাছার বংশবৃদ্ধি রোধকল্পে আগাছা দমন করতে হবে।

দমন পদ্ধতি
আগাছা দমন পদ্ধতি প্রধানত দুই রকমঃ
(ক) পরোক্ষ পদ্ধতি
(খ) প্রত্যক্ষ পদ্ধতি
(ক) পরোক্ষ পদ্ধতি
উন্নত মানের বীজ ব্যবহারঃ বীজ অবশ্যই মিশ্রণমুক্ত (অন্য জাত এবং আগাছা বীজ থেকে) হওয়া চাই। আগাছাযুক্ত বীজ ব্যবহার আগাছার প্রার্দুভাবের অন্যতম কারণ।
জমি বাছাই ও উত্তম রূপে জমি প্রস্তুত করাঃ সাধারণত আগাছা কম জন্মায় এমন জমি বাছাই করতে হবে। উত্তমরূপে জমি তৈরি করা আগাছা দমনের প্রধান উপায়। সময়মতো চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পচিয়ে নিতে হবে। ড্রামসিডার দিয়ে চাষের জন্য আগাছামুক্ত জমি নির্বাচন করা দরকার। সব জমিতেই আগাছা সমানভাবে জন্মায় না। সাধারণত একফসলি নিচু জমিতে আগাছা কম হয়।
যথাযথভাবে বীজ বপন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে চারা উৎপাদনঃ ঘন ধানের জমিতে আগাছা কম হয়। ফাঁকা জায়গা চারা দিয়ে ভরে দিতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপনাঃ ড্রাম সিডার দিয়ে কাদাময় জমিতে বীজ বোনার পর কিছুদিন পানি দেয়া হয় না বিধায় সাধারণত আগাছা বেশি হয়। তবে চারা বড় হওয়ার পর ৫-৭ সেন্টিমিটার দাঁড়ানো পানি রাখা চাই।
বীজ অবশ্যই মিশ্রণমুক্ত (অন্য জাত এবং আগাছা বীজ থেকে) হওয়া চাই। আগাছাযুক্ত বীজ ব্যবহার আগাছার প্রার্দুভাবের অন্যতম কারণ। সাধারণত আগাছা কম জন্মায় এমন জমি বাছাই করতে হবে। উত্তমরূপে জমি তৈরি করা আগাছা দমনের প্রধান উপায়। সময়মতো চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পচিয়ে নিতে হবে। ঘন ধানের জমিতে আগাছা কম হয়। ফাঁকা জায়গা চারা দিয়ে ভরে দিতে হবে। ড্রাম সিডার দিয়ে কাদাময় জমিতে বীজ বোনার পর কিছুদিন পানি দেয়া হয় না বিধায় সাধারণত আগাছা বেশি হয়। তবে চারা বড় হওয়ার পর ৫-৭ সেন্টিমিটার দাঁড়ানো পানি রাখা চাই। ড্রামসিডার দিয়ে চাষের জন্য আগাছামুক্ত জমি নির্বাচন করা দরকার। সব জমিতেই আগাছা সমানভাবে জন্মায় না। সাধারণত একফসলি নিচু জমিতে আগাছা কম হয়।
(খ) প্রত্যক্ষ পদ্ধতি
হাতে নিড়ানিঃ এ পদ্ধতি সর্বাধিক কার্যকর কিন্তু অদক্ষ এবং ব্যয়বহুল পন্থা। ২-৩ টি নিড়ানি যথেষ্ট।
যান্ত্রিক পদ্ধতিঃ ব্রি উইডার দিয়ে আগাছা দমন। ব্রি উইডার ড্রাম সিডারের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে (১২ সেন্টিমিটার প্রস্থ)।
আগাছানাশক ব্যবহারঃ
১) ধান চাষে আগাছা নাশকের (herbicides) ব্যবহার বাড়ছে।
২) সতর্কতার সঙ্গে আগাছানাশক ব্যবহার করতে হবে।
৩) ২০-২৫ মিলিলিটার রনস্টার বা ১০-১২ রিফিট (১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) প্রতি ৫ শতক জমিতে প্রয়োগযোগ্য।
৪) বোরো মৌসুমে বপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে জমিতে ছিপছিপে দাঁড়ানো পানি থাকা অবস্থায় প্রয়োগ করতে হয় এবং এর পরও ৪-৫ দিন ছিপছিপে পানি রাখতে হবে।
৫) আউশ ও আমন মৌসুমে ৪-৫ দিনের মধ্যে আগাছা নাশক ব্যবহার করা ভালো।

উপসংহার
১) ড্রাম সিডার দিয়ে ধান চাষে আগাছাই প্রধান সমস্যা হতে পারে। তবে আগাছা খুবই এলাকা কেন্দ্রিক সমস্যা।
২) সাধারণত নিচু জমি এবং এক ফসলি জমিতে আগাছা কম হয়। যে জমিতে আগাছা কম হয় সেখানেই ড্রাম সিডার পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
৩) উন্নত মানের মিশ্রণমুক্ত বীজ ব্যবহার, উত্তম রূপে জমি প্রস্তুত এবং সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ধানক্ষেত আগাছামুক্ত রাখার সহায়ক। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রি উইডার ব্যবহার করে বোনা ধানে আগাছা দমন সহজ। প্রয়োজনে আগাছানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। সময়, মাত্রা এবং পানি ব্যবস্থাপনা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment