১) কৃমি রোগ- এই রোগে ছাগল খুব বেশী আক্রান্ত হয়৷ সাধারণতঃ আসকারিস জাতীয় গোলকৃমি,আফিস্টোম, লিভার ফ্লুক, চ্যাপ্টা কৃমি দ্বারা বেশী আক্রান্ত
হয়৷ চারণ ভূমি ও বাসস্থান থেকে এই
রোগ ছড়াতে পারে৷ লক্ষণ- এই রোগে পাতলা পায়খানা
হয়৷ ঠিকমত ওজন বৃদ্ধি হয় না, শরীর শুকিয়ে যায়, পুষ্টিকর
খাবারেও বৃদ্ধি হয় না৷ খাওয়া কমে যায়, দুর্বল হয়ে
যায়৷ মৃত্যুও হতে পারে৷ চারণভূমিতে
মলের সাথে এই কৃমি ছড়িয়ে পড়ে৷ চিকিত্সা ব্যবস্থা-
বর্ষার আগে ও পরে নিয়ম করে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়৷ তবে
কৃমির আক্রমণ যেহেতু যে কোন সময় হতে পারে তাই প্রতিমাসে একবার কৃমির ঔষধ
খাওয়ানো দরকার৷ আসকারিস জাতীয়
গোলকৃমি হলে পাইপ্যারাজিন আডিপেট পাউডার প্রতি ৪৫
কেজিতে ১০ গ্রাম হারে বা ছাগল পিছু ৩ গ্রাম করে খালিপেটে সকালে খাওয়াতে হয়,
এরপর ২০ দিন পর আবার খাওয়াতে হয়৷ লিভার বা আস্ফিষ্টোম ফ্লুক হলে ডিসটোডিন ট্যাবলেট প্রতি কেজির জন্য
১০০ - ১৫০ মিগ্রা
হারে বা অক্সিক্লোজানাইড লিকুইড ২ - ২.৫ মিলি প্রতি ছাগল পিছু দেওয়া যায় বা প্রতি ৫ কেজি ওজনের
জন্য ১ মিলি দেওয়া হয়৷ ২)
ছাগলের ছোঁয়াচে প্লুরো নিউমোনিয়া রোগ- লক্ষণ- এই জ্বর (১০৪ ডিগ্রি - ১০৭ ডিগ্রি
) শ্বাসকষ্ট, প্রথম অবস্থায় নাক দিয়ে জল বেরোয়, পরে হলুদ হয়ে যায়৷ কাশি হয়, দিনদিন রোগা হয়ে যায়, স্টেথো লাগালে বোঝা যায় বুকে
জল জমেছে, খিদে কমে যায়৷ এক সপ্তাহের মধ্যে ছাগলটি মারা
যায়৷ চিকিত্সা- টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশান বেশী মাত্রায়
শিরায় করতে হবে তত্ক্ষণাত বা সালফামেজাথিম (৩৩১/৩%) হলে ৩০ মিলি
একবারে ইনজেকশান দিতে হবে৷ ৩)
গোট পক্স বা বসন্ত রোগ- এটি একটি ভাইরাস ঘটিত ছোঁয়াচে রোগ৷ লক্ষণ- এই রোগ দেখা দিলে প্রথমে জ্বর, সর্দি, চোখ ও নাক
দিয়ে জল পড়ে, পালান, মুখে, কানে, ক্ষত বা জলফোস্কা দেখা যায়৷ এই জলফোস্কা অনেকসময় পেকে পুঁজ হয়৷
বাচ্চারা আক্রান্ত হলে মারা যায়৷ বড়দের দ্রুত চিকিত্সা
করতে হয়৷ এই রোগের স্থায়িত্বকাল ২
- ৭ দিন৷ চিকিত্সা ও
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- আক্রান্ত ছাগলগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে৷ কোন আন্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন ক্ষতে
লাগাতে হবে৷ তার আগে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে ক্ষত
ধুয়ে দিতে হয়৷ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা হিসাবে টিকা দিতে
হবে৷ বসন্ত রোগে কোন ছাগল মারা গেলে তাকে মাঠে ও অন্য
কোন খোলা জায়গায় ফেলা উচিত নয়৷ চুন মাখিয়ে গর্তে পুঁতে
দিতে হয় মৃত ছাগলটিকে৷ ৪) এঁসো
রোগ- ভাইরাস জনিত এই রোগ ছাগলেরও দেখা যায়৷ বিশেষত
বর্ষার সময় এই রোগের প্রার্দুভাব বেশী দেখা যায় এবং খুব দ্রুত অন্যান্য
ছাগলের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ লক্ষণ- এই রোগে
মুখের ভিতরের দিকে, জিহ্বায়, ঠোঁটে, পায়ের ক্ষুরে ঘা হয়৷
এফ.এম.ডি. ভ্যাকসিন বছরে দুবার নিলে এই রোগের আক্রমণ হয় না৷ ৫) পেট ফোলা বা ব্লোট- অনেক সময় নতুন সবুজ ঘাস প্রচুর
পরিমাণে খেয়ে ফেললে পেট ফুলে যায়৷ বাঁ দিকের পেট ফুলে
যায়৷ শ্বাসকষ্ট হয়৷ ছাগল ছটফট করতে
থাকে৷ বেশী পেট ফুলে গেলে ছাগল মারা যায়৷ চিকিত্সা ও প্রতিকার- এক কাপ তিসির তেল খাইয়ে দিলে
স্বস্তি পায়৷
তাছাড়া ব্লোটোসিল ২০ মিলি ১২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে রোগ
সেরে যেতে পারে৷ তবে অত্যধিক পেট ফুলে গেলে সুঁচ ফুটিয়ে
গ্যাস বের করে দিতে হয়৷ কচি সবুজ ঘাস বেশী করে খাওয়ানো
ঠিক নয়, সুবাবুলের পাতাও বেশী খাওয়াতে নেই৷
|
|
১) কৃমি রোগ- এই রোগে ছাগল খুব বেশী আক্রান্ত হয়৷ সাধারণতঃ আসকারিস জাতীয় গোলকৃমি,আফিস্টোম, লিভার ফ্লুক, চ্যাপ্টা কৃমি দ্বারা বেশী আক্রান্ত
হয়৷ চারণ ভূমি ও বাসস্থান থেকে এই
রোগ ছড়াতে পারে৷ লক্ষণ- এই রোগে পাতলা পায়খানা
হয়৷ ঠিকমত ওজন বৃদ্ধি হয় না, শরীর শুকিয়ে যায়, পুষ্টিকর
খাবারেও বৃদ্ধি হয় না৷ খাওয়া কমে যায়, দুর্বল হয়ে
যায়৷ মৃত্যুও হতে পারে৷ চারণভূমিতে
মলের সাথে এই কৃমি ছড়িয়ে পড়ে৷ চিকিত্সা ব্যবস্থা-
বর্ষার আগে ও পরে নিয়ম করে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়৷ তবে
কৃমির আক্রমণ যেহেতু যে কোন সময় হতে পারে তাই প্রতিমাসে একবার কৃমির ঔষধ
খাওয়ানো দরকার৷ আসকারিস জাতীয়
গোলকৃমি হলে পাইপ্যারাজিন আডিপেট পাউডার প্রতি ৪৫
কেজিতে ১০ গ্রাম হারে বা ছাগল পিছু ৩ গ্রাম করে খালিপেটে সকালে খাওয়াতে হয়,
এরপর ২০ দিন পর আবার খাওয়াতে হয়৷ লিভার বা আস্ফিষ্টোম ফ্লুক হলে ডিসটোডিন ট্যাবলেট প্রতি কেজির জন্য
১০০ - ১৫০ মিগ্রা
হারে বা অক্সিক্লোজানাইড লিকুইড ২ - ২.৫ মিলি প্রতি ছাগল পিছু দেওয়া যায় বা প্রতি ৫ কেজি ওজনের
জন্য ১ মিলি দেওয়া হয়৷ ২)
ছাগলের ছোঁয়াচে প্লুরো নিউমোনিয়া রোগ- লক্ষণ- এই জ্বর (১০৪ ডিগ্রি - ১০৭ ডিগ্রি
) শ্বাসকষ্ট, প্রথম অবস্থায় নাক দিয়ে জল বেরোয়, পরে হলুদ হয়ে যায়৷ কাশি হয়, দিনদিন রোগা হয়ে যায়, স্টেথো লাগালে বোঝা যায় বুকে
জল জমেছে, খিদে কমে যায়৷ এক সপ্তাহের মধ্যে ছাগলটি মারা
যায়৷ চিকিত্সা- টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশান বেশী মাত্রায়
শিরায় করতে হবে তত্ক্ষণাত বা সালফামেজাথিম (৩৩১/৩%) হলে ৩০ মিলি
একবারে ইনজেকশান দিতে হবে৷ ৩)
গোট পক্স বা বসন্ত রোগ- এটি একটি ভাইরাস ঘটিত ছোঁয়াচে রোগ৷ লক্ষণ- এই রোগ দেখা দিলে প্রথমে জ্বর, সর্দি, চোখ ও নাক
দিয়ে জল পড়ে, পালান, মুখে, কানে, ক্ষত বা জলফোস্কা দেখা যায়৷ এই জলফোস্কা অনেকসময় পেকে পুঁজ হয়৷
বাচ্চারা আক্রান্ত হলে মারা যায়৷ বড়দের দ্রুত চিকিত্সা
করতে হয়৷ এই রোগের স্থায়িত্বকাল ২
- ৭ দিন৷ চিকিত্সা ও
প্রতিরোধ ব্যবস্থা- আক্রান্ত ছাগলগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে৷ কোন আন্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন ক্ষতে
লাগাতে হবে৷ তার আগে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে ক্ষত
ধুয়ে দিতে হয়৷ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা হিসাবে টিকা দিতে
হবে৷ বসন্ত রোগে কোন ছাগল মারা গেলে তাকে মাঠে ও অন্য
কোন খোলা জায়গায় ফেলা উচিত নয়৷ চুন মাখিয়ে গর্তে পুঁতে
দিতে হয় মৃত ছাগলটিকে৷ ৪) এঁসো
রোগ- ভাইরাস জনিত এই রোগ ছাগলেরও দেখা যায়৷ বিশেষত
বর্ষার সময় এই রোগের প্রার্দুভাব বেশী দেখা যায় এবং খুব দ্রুত অন্যান্য
ছাগলের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ লক্ষণ- এই রোগে
মুখের ভিতরের দিকে, জিহ্বায়, ঠোঁটে, পায়ের ক্ষুরে ঘা হয়৷
এফ.এম.ডি. ভ্যাকসিন বছরে দুবার নিলে এই রোগের আক্রমণ হয় না৷ ৫) পেট ফোলা বা ব্লোট- অনেক সময় নতুন সবুজ ঘাস প্রচুর
পরিমাণে খেয়ে ফেললে পেট ফুলে যায়৷ বাঁ দিকের পেট ফুলে
যায়৷ শ্বাসকষ্ট হয়৷ ছাগল ছটফট করতে
থাকে৷ বেশী পেট ফুলে গেলে ছাগল মারা যায়৷ চিকিত্সা ও প্রতিকার- এক কাপ তিসির তেল খাইয়ে দিলে
স্বস্তি পায়৷
তাছাড়া ব্লোটোসিল ২০ মিলি ১২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে রোগ
সেরে যেতে পারে৷ তবে অত্যধিক পেট ফুলে গেলে সুঁচ ফুটিয়ে
গ্যাস বের করে দিতে হয়৷ কচি সবুজ ঘাস বেশী করে খাওয়ানো
ঠিক নয়, সুবাবুলের পাতাও বেশী খাওয়াতে নেই৷
|
0 comments:
Post a Comment