গরুর রোগ ও প্রতিকার

গরুর রোগ হলে খাওয়ার রুচি না থাকা, কম খাওয়া বা না খাওয়া, চুপচাপ পড়ে থাকা, দুর্বল হয়ে যাওয়া আবার অনেক সময় শুল বেদনার জন্য ছটফট করা, উত্পাদন কমে যাওয়া, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, লোম খসখসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি৷

মিল্ক ফিভার / ঠুনকো রোগ

এই রোগ সাধারণতঃ বাচ্চা দেওয়ার সপ্তাহের মধ্যে হয়৷ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ২ দিনের মধ্যেই হয়৷ বাচ্চা দেওয়ার আগে খাবারে কম ক্যালসিয়াম থাকলে বা গাই-এর রক্তে কম ক্যালসিয়াম থাকলে এই রোগ হয়৷

লক্ষণ

  • এই রোগ হলে গরুর হঠাত করে দুধ কমে যাবে, কাঁপতে থাকবে, শরীরে জোর কমে যাবে৷ দাঁড়াতে পারবে না৷ শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে৷ চোখের তারা বড় হয় লালা ঝরে, এমন ভাবে শুয়ে থাকে যে ঘাড় বেঁকিয়ে মাথা পেটের উপর পড়ে, শ্বাস কষ্ট হয়৷

প্রতিকার

  • ক্যালসিয়াম জাতীয় ইনজেকশন যেমন মাইফেক্স, ক্যালরোরোল, ক্যালমেক্স ইত্যাদি শিরায় দিতে হবে, পরে খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়তে হবে৷

কিটোসিস

এই রোগ হয় গাই বাচ্চা দেওয়ার ৬ -  ৮ সপ্তাহ পরে, বিশেষ করে যখন খুব বেশী দুধ দেয়৷ এর কারণ হল  কম শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য৷

লক্ষণ

  • এই রোগে স্নায়বিক অসুস্থতা দেখা দেবে৷ সাধারণ ভাবে তাপমাত্রা, নাড়ীর মাত্রার কোন হেরফের হবে না৷ তবে শ্বাস ও মূত্র থেকে মিষ্টি গন্ধ বেরোবে৷ ম্যাস জাতীয় খাবার না খেয়ে খড় চিবুবে৷

প্রতিকার

  • গ্লুকোজ জাতীয় ঔষধ শিরায় দিতে হবে৷ যেমন- ডেক্সট্রোজ ২৫  -  ৫০ শতাংশ ও রিনটোজ ৫০ শতাংশ ইত্যাদি৷

 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment