কোয়েলের রোগ ও প্রতিকার


 

ব্রুডার নিউমোনিয়া

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বাচ্চা কোয়েলের মৃত্যু হতে পারে, যদি না ব্রুডারে থাকাকালীন তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়৷  তাই ব্রুডিং করার সময় অর্থাত প্রথম দুই সপ্তাহ বাচ্চা কোয়েলকে নজরে রাখতে হবে৷ কারণ ঐ সময় আসপারজিলাস ফিউমিগেটাস  নামক ছত্রাকের প্রভাবে এই ব্রুডার নিউমোনিয়া হয়৷

  • রোগের লক্ষণ -  বাচ্চাপাখী ঝিমিয়ে পড়ে, দুর্বল হয়ে পড়ে, খাওয়া দাওয়াবন্ধ হয়ে যায়৷   জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে৷  চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে রস বেরোতে থাকে৷  এই রোগে মৃত্যুর হার শতকরা ২ - ৩ ভাগ৷   কিন্তু আক্রান্তের হার শতকরা ৫০ ভাগ৷

চিকিত্সা -  ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম প্রোপিওনেট ১০০ কেজি খাবারের সাথে মেশাতে হবে৷  আন্টিবায়টিক খাওয়াতে হবে৷ পাশাপাশি প্রাণীচিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷

কোয়েল ডিজিজ

কোয়েল ডিজিজের আর এক নাম আলসারেটিভ এনটারাইটিস৷  এটি কোয়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ৷

  • রোগের লক্ষণ - পাতলা পায়খানা, দুর্বল হয়ে পড়ে, খিচুনি হয়, ক্ষুদ্রান্ত্রে ও শিকামে ঘা হয়ে যায়৷

চিকিত্সা - আন্টিবায়টিক খাওয়াতে হবে৷  পাখী খুব বেশী মারা গেলে স্থানীয় চিকিত্সকের কাছে পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে৷

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment