রক্তসল্পতা (নিউট্রিশনাল এনিমিয়া)


রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলেই রক্তসল্পতা রোগ হয়। বাংলাদেশের প্রায় ৭০ জন লোকই রক্তসল্পতায় ভোগে। গর্ভবতী, প্রসূতি মহিলা এবং ছোট শিশুরাই এ রোগের সহজ শিকার। এ রোগের ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে, কর্মক্ষমতা লোপ পায় এবং বিভিন্ন সংক্রামক রোগ সহজেই দেহকে আক্রমন করতে পারে।

রক্তাল্পতার লক্ষণঃ

১) শরীর বিশেষত মুখমন্ডল ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যায়;
২) সামান্য কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে যায় এবং হাঁপাতে থাকে;
৩) বুক ধড়ফড় করে;
৪) শ্বাস কষ্ট হয়;
৫) শরীর দুর্বল হয়ে যায় বলে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরায় এবং বমি ভাব হয়;
৬) জিহ্বা মসৃন এবং সাদা হয়ে যায়;
৭) চোখের কোটরির উপরের শিরাগুলোর রক্ত হালকা লাল রং এর দেখা যায়; এবং
৮) মারাত্বক 
রক্তসল্পতায় হাতের নখ চা চামচের ন্যায় উপরের দিকে উল্টে যায় এবং শরীরে পানি জমা হতে পারে।

কারণঃ
    যদি খাবারে প্রধানত লৌহের ঘাটতি হয় এবং সাথে সাথে আমিষেরও ঘাটতি হয় তবে শরীরে প্রয়োজন মত রক্ত তৈরি হতে পারে না ফলে রক্তাল্পতা হয়। কৃমিতে আক্রান্ত হলে, দুর্ঘটনায় অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলে, গর্ভাবস্থায় এবং বাচ্চা প্রসবের পর ঠিকমত লৌহ সমৃদ্ধ খাবার না খেলেও 
রক্তসল্পতা রোগ হয়।

প্রতিকারঃ
    এ রোগের প্রাথমিক অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে লৌহ সমৃদ্ধ ও আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং সাথে সাথে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ টক জাতীয় ফল খেতে হবে। এর সাথে কৃমিরও চিকিৎসা করাতে হবে। মারাত্বক অবস্থায় লৌহ ও আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শমত লৌহ ঘটিত ঔষধও খেতে হবে। পরিষ্কার পরিছন্ন পরিবেশে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ শাক সবজি তথা সুষম খাদ্য খেলে রক্তাল্পতা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

1 comments:

Mihir Sarkar said...

Read a lot of blogs specially interesting ones like your blog, Good post! I accidentally found your site on the internet, I am going to be coming back here yet again.Love Information Is Beautiful. Keep posting.Amar khub Valo Lagacha Apnara aktu site ta visit korban kamon ar aktu Basi somy Thak Ban

Post a Comment